সুস্থ জনগোষ্ঠী তৈরী, দারিদ্র্য বিমোচন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তথা উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিষয়ে জ্ঞানার্জন অতীব জরুরী। এছাড়া অপুষ্টিজনিত রোগের লক্ষণ সনাক্তকরণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধ, রোগীর সঠিক পথ্য নির্বাচন, পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য পরিবেশন, নতুন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে Nutraceuticals and Nutrigenomics এর মাধ্যমে সঠিক জ্ঞানার্জনের লক্ষ্যে খাদ্য ও পুষ্টি সম্পর্কিত বিষয়ে অধ্যয়ন করা প্রয়োজন। সুস্বাস্থ্যের সাথে পুষ্টির একটি আন্ত:সম্পর্ক রয়েছে। সুস্থভাবে জীবনযাপনের জন্য দরকার সঠিক পদ্ধতিতে খাদ্য গ্রহণ। কেননা আমাদের সুস্বাস্থ্য নির্ভর করে সঠিক খাদ্যাভাসের উপর। আর কিভাবে এই বিশাল খাদ্যভান্ডার থেকে সুষম খাদ্য বেছে নিতে পারি এবং বয়স, ওজন অনুযায়ী কতটুকু ক্যালরি গ্রহণ করা দরকার তা ঠিক করে দিতে পারেন একজন দক্ষ পুষ্টিবিদ।
বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ এর খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগে ১৫০টি আসন রয়েছে। গ্রেডিং পদ্ধতিতে চার বছর মেয়াদী বি.এসসি (সম্মান) কোর্স সম্পন্ন করার পর এক বছর মেয়াদী স্নাতকোত্তর কোর্স সম্পন্ন করা হয়। সকল কোর্সের সিলেবাস অত্যন্ত সমৃদ্ধশীল।
অত্র প্রতিষ্ঠানে ৪০ জন মেধাবী ও দক্ষ শিক্ষকের মধ্যে এই বিভাগে ৯ জন শিক্ষক রয়েছেন। এই অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য অধ্যক্ষগণ দ্বারা পাঠদান করানো হয়। এছাড়া ব্যবহারিক ক্লাসের মাধ্যমে এখানকার শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে শিক্ষা দেয়া হয়। আরও সুন্দরভাবে দক্ষতা অর্জনের জন্য রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য হোটেল ভিজিট, ইন্ডাষ্ট্রি ভিজিটের সুবিধা। রয়েছে দক্ষ শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত আধুনিক মানসম্মত Food Lab এবং Science Lab। এখানে দূর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের বিনোদনের জন্য শিক্ষাসফর এবং বনভোজনের আয়োজন করা হয়। এখানকার শিক্ষার্থীরা নিজ উদ্যোগে উৎসব অনুযায়ী বিভিনড়ব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। শ্রেনীকক্ষের বাহিরে আমাদের শিক্ষকেরা পুষ্টি বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম অংশগ্রহণ করে থাকেন।