১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ একটি ব্যতিক্রমী ও আদর্শস্থানীয় কলেজ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
এই কলেজে গার্হস্থ্য অর্থনীতি শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত পঁাঁচটি বিভাগের ও বিভাগ-বহির্ভূত সকল কোর্সের সিলেবাস অত্যন্ত আধুনিক ও সমৃদ্ধ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে এই বিভাগ গুলোতে গ্রেডিং পদ্ধতি অনুযায়ী চার বছর মেয়াদী সম্মান ও এক বছরের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদানের জন্য শিক্ষাদান করা হয়। এছাড়া যে সকল শিক্ষার্থী সম্মান শ্রেণীতে ভর্তির সুযোগ পায়নি বা কোন কারনে তাদের লেখাপড়ায় ছেদ পড়েছে, তাদের জন্য রয়েছে তিন বছর মেয়াদী ডিগ্রি কোর্স, যা সম্পন্ন করে তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যোগ দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করে ও নিজের পায়ে দাড়াঁতে পারে।
গত দুই যুগের বেশি সময় ধরে এই কলেজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ ও স্বনামধন্য শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত নির্বাচন কমিটির মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ ও নিখুঁত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে শিক্ষক নির্বাচন হয়ে আসছে। তাই সময়ের পরিক্রমায় আমাদের কলেজটি পেয়েছে একগুচ্ছ নিবেদিতপ্রাণ মেধাবী শিক্ষক। বর্তমানে এই কলেজে রয়েছে চল্লিশ জন পূর্ণকালীন শিক্ষক যারা স্বস্ব বিষয়ে উঁচুমানের জ্ঞানে সমৃদ্ধ। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য শিক্ষকগণ এই কলেজে বিশেষজ্ঞ অতিথি শিক্ষক হিসেবে পাঠদান করে থাকেন। প্রতিটি বিভাগের জন্য রয়েছে আধুনিক গবেষণাগার ও তা পরিচালনার জন্য অভিজ্ঞ প্রদর্শক। কলেজে রয়েছে গভর্নিং বডির প্রথম চেয়ারম্যান আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী প্রয়াত অধ্যাপক হারুন কাদের মো. ইউসুফের নামে প্রতিষ্ঠিত অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি পাঠাগার।
এই কলেজে রয়েছে মেধা বৃত্তি ও অস্বচ্ছল ছাত্রীদের জন্য বৃত্তি। তৃতীয় বর্ষে প্রতিটি বিভাগে সর্বোচ্চ ফলাফলের জন্য রয়েছে পাঁচটি চেয়ারম্যান বৃত্তি এবং চতুর্থ বর্ষের সকল ছাত্রীদের মধ্য থেকে সর্বচ্চো ফলাফল অর্জনকারী একজন ছাত্রীর জন্য রয়েছে অধ্যাপক হারুণ কাদের মো. ইউসুফ মেধাবৃত্তি। এছাড়া প্রতি বছর ২০ জন অস্বচ্ছল ছাত্রীকে পূর্ণ বা অর্ধ বেতন মউকুফ করে পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়।
আমাদের কলেজের লক্ষ্য ছাত্রীদের শুধুমাত্র একাডেমিক শিক্ষা প্রদান নয়, তাদের মানবিক এবং নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। বর্তমান সমাজ, যেখানে মূল্যবোধের ব্যাপক ধ্বস নেমেছে, সেখানে উচ্চ মনন-সমৃদ্ধ সংস্কৃতির অধিকারী নাগরিক সমাজ গড়ে তোলার মূখ্য দায়িত্ব পালন করতে পারে একটি বিদ্যায়তন।
বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ সেই গুরু দায়িত্বের কথা মনে রেখে ছাত্রীদের শিক্ষাদান করে চলেছে।